পপুলিস্ট ও জাতীয়তাবাদী নেতারা ‘ভুয়া খবর’ বা ‘জাতীয় স্বার্থের পরিপন্থী ‘ এই অজুহাতে সাংবাদিকদের শাস্তি দেওয়ার জন্য কঠোর আইন প্রণয়ন করেছেন বিশ্বের যেসব দেশে তাদের রাজত্ব রয়েছে। সেই আইনগুলি প্রয়োগ করে বিভিন্ন উপায়ে সংবাদ সংস্হাগুলিকে জব্দ করার চেস্টা করে চরম বাম হোক বা ডান পপুলিস্ট এবং জাতীয়তাবাদী নেতারা এবং তাদের কট্টর সমর্থকরা ‘ষড়যন্ত্র তত্ত্ব’ বলে দাগিয়ে দিয়ে সাংবাদিকদের বিভিন্ন ভাবে হেনস্তা করার চেষ্টা করেন।আর এদের কন্সপিরাসি তত্ব বড় প্রিয় এমনকি নির্বাচনে হেরে গেলেও ‘বহিরাগত’ শক্তির হাত দেখেন।ক্ষমতাসিন সরকারের পেটোয়া মিডিয়ার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ প্রায়ই জনসাধারণকে বিভ্রান্ত করে এবং ভারতসহ সারা বিশ্ব জুড়ে ‘পপুলিস্ট’এবং রাষ্ট্রবাদী রাজনৈতিক নেতাদের ফ্রি প্রেস,আন্দোলন,সাংবিধানিক সংস্থা একদম না পছন্দ। তাঁরা শুধু সেইসব প্রচার যন্ত্র চান যে প্রচার যন্ত্র সরকারের সবসময় ভূয়সী প্রশংসা করবে আর বিরোধীদের মুণ্ডুপাত করবে। বিশ্বব্যাপী পপুলিস্ট ও জাতীয়তাবাদী নেতাদের কট্টর সমর্থকরা বিশ্বাস করে যে তাদের নেতারা কোনো ভুল করতে পারেন না।আমরা সরকারের সমস্ত কর্মকাণ্ড ও নীতিকে জোরালোভাবে সমর্থন করবো এবং বিরোধীদের নাস্তানাবুদ করবো এটি আর যাই হোক সাংবাদিকতা নয়।মনে রাখতে হবে সাংবাদিকতায় ডান বাম বলে কিছু হয় না। সাংবাদিকদের কাজ হলো সরকার নীতি এবং কাজকর্মের উপর কড়া নজর রাখা।রাষ্ট্রবাদীর তকমা গায়ে সেটে প্রোপাগান্ডিস্ট হয়ে সরকারি বিজ্জাপন আর অন্য সুযোগ সুবিধে ভোগ করা কোনো ভাবেই সাংবাদিকতা নয়।গত দশ এগারো বছরে আমরা অনেক বেশি মেরুকৃত হয়ে পড়েছি ফলে আমরা যেসব সংবাদ দেখতে পছন্দ করি যা আমাদের পক্ষপাত দুষ্ট মানসিকতাকে দৃঢ় করে আর সরকারের পরিবর্তন হলে তাদের যখন ভোল পরিবর্তন হবে তখন এদেরই গাল পারবেন যারা এদের এখন রাষ্ট্রবাদী মিডিয়া বলে প্রশংসা করেন।